প্যাটার্ন ডিজাইন অ্যান্ড ক্যাড-এর কাজ
প্যাটার্ন ডিজাইন অ্যান্ড ক্যাড সফটওয়্যারের কার্যাবলী পোশাক শিল্পের একটা বড় অংশ, আর তাই এর কর্মক্ষেত্রটাও অনেক ব্যাপক। মানুষের তিনটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে বস্ত্র অন্যতম। এই বস্ত্রকে বিভিন্ন আঙ্গিকে নতুন নতুন ভাবে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিশ্বের সকল মানুষের কাছে উপস্থাপন করে পছন্দের পোশাক তৈরি করাটাই প্যাটার্ন ডিজাইন অ্যান্ড ক্যাড-এর কাজ।
ফ্যাশন মূলত পরিবর্তনশীল তাই দক্ষ প্যাটার্ন ডিজাইনার ছাড়া বাণিজ্যিক পোশাক উৎপাদনের এই লক্ষ্যমাত্রা মিটানো সম্ভব নয়। একজন ফ্যাশন ডিজাইনারের ডিজাইন করা পোশাক চূড়ান্ত সিলেকশনের পর বায়ার তা অর্ডার করে একজন মার্চেন্ডাইজারের মাধ্যমে বায়িং হাউস বা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে। ইন্ডাসট্রি লেভেলে সেই ডিজাইনটি বাণিজ্যিক উৎপাদনের লক্ষে পোশাকের প্রতিটি অংশের প্রাথমিক প্যাটার্ন তৈরি করে পরবর্তিতে ‘ ক্যাড সফটওয়্যার ’ দিয়ে ফ্যাবরিক্স কনজামশন কমিয়ে আরো নিখুত ও নির্ভুল ভাবে চূড়ান্ত ডিজাইন করে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ পিস উৎপাদনের মূল ভূমিকা পালন করেন একজন প্যাটার্ন ডিজাইনার।
প্যাটার্ন ডিজাইন অ্যান্ড ক্যাড পেশায় ক্যারিয়ার
যুগপোযোগী প্রফেশনাল প্রশিক্ষণ ভালো একটি ক্যারিয়ার গড়তে সহায়ক। ক্যারিয়ার গঠনে এমন-ই একটি ফলপ্রসূ প্রশিক্ষণ প্যাটার্ন ডিজাইন অ্যান্ড ক্যাড। আমাদের দেশের পোশাক শিল্প বর্তমানে সারাবিশ্বেই বিখ্যাত। আমাদের দেশে এই খাতের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কম নয়। তাই এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিলে ভালো একটি ক্যারিয়ার গড়া কঠিন নয়, শুধু দেশে নয় বর্তমান বিশ্ববাজারে পোশাক শিল্পের বিপুল চাহিদার কারণে অন্যসব পেশার চেয়ে এ পেশায় চাকরি পাওয়া অনেক সহজ। বিভিন্ন দেশে এই পেশাদারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে গার্মেন্টস পন্য রপ্তানিতে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হওয়ায় পোশাক শিল্পে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে একটি প্রচলিত ধারণা রয়েছে যে কেবল মাত্র কম শিক্ষিত লোকজনই পোশাক শিল্পে চাকরি করে থাকে, আসলে এ কথাটি সঠিক নয়। বাস্তবক্ষেত্রে এই শিল্পে সবচেয়ে বেশি বেতন সম্পন্ন টেকনিক্যাল এবং ডিজাইন সংশ্লিষ্ট পোস্টের কাজ গুলি করে থাকে বিদেশ থেকে আসা বিদেশী বিশেষজ্ঞরা।বাংলাদেশের মোট জাতীয় রপ্তানি আয়ের সিংহভাগই (৮০%) আসে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে। ২০১৭ সালে যার মূল্যমান ২৫ বিলিয়ন ইউ,এস, ডলার। বাংলাদেশ গার্মেন্টস মানুফেকচারস এন্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশান (বি,জ,এম,ই,এ) এর তথ্য মতে ২০২১ সাল নাগাদ অর্থাৎ বাংলাদেশের বয়স যখন হবে ৫০ বছর তখন তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানির লক্ষ মাত্রা হবে ৫০ বিলিয়ন ইউ,এস, ডলার। এই দ্বিগুণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে দরকার প্যাটার্ন ডিজাইন অ্যান্ড ক্যাড জানা আর অসংখ্য দক্ষ কর্মী। তৈরি পোশাক শিল্পে এই কর্মসংস্থানের চাহিদা শুধু বর্তমানে নয় আগামী ১০বছরেও শেষ হবে না।
প্যাটার্ন ডিজাইন অ্যান্ড ক্যাড পেশার সম্ভাবনা
বাংলাদেশর রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পে প্যার্টান ডিজাইন অ্যান্ড ক্যাডের রয়েছে অনেক চাহিদা কিন্তু মিলছেনা যোগ্য ব্যক্তি । ইন্ডাসট্রিয়াল লেভেলে প্যাটার্ন ক্যাড সফটওয়্যারটির ব্যবহার নতুন ও সফটওয়্যারটি অনেক ব্যয়বহুল যা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়া অপারেট করা সম্ভব নয়। যে কারনে চাহিদার বিপরীতে শিক্ষার্থীর অপ্রতুলতার কারনে দক্ষ ও যোগ্য প্যাটার্ন ক্যাড বিশেষজ্ঞের সংখ্যা অনেক কম। আর এ কারণে এদের বেতন হয় অন্যান্য পেশার চেয়ে বেশি আর চাকুরির সুযোগ হয় অগণিত । বর্তমানে বাংলাদেশে হাজার হাজার গার্মেন্টস এবং বায়িং হাউজ রয়েছে সেখানে দরকার দক্ষ অসংখ্য লোক তাই প্যাটার্ন ডিজাইন অ্যান্ড ক্যাড-এ চাকুরি অথবা ব্যবসায়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়তে চান তবে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন এন্ড ডিজাইন টেকনোলজি (বি,আই,এফ,ডি,টি) - এর প্যাটার্ন ডিজাইন অ্যান্ড ক্যাড কোর্সটি করুন।